সঙ্গোপনে ৬
গেটের সামনে লেখা বেবি কেয়ার ইউনিট। ভেতরে সামান্য ভিড়। ভিড় থাকাটাই স্বাভাবিক। প্রতিদিন নতুন নতুন মুখ নিয়ে অনেক নবজাতক প্রথমবারের মতো পৃথিবীর আলো দেখে এই ওয়ার্ডে। নবজাতকের চিৎকারে মায়ের মনে দুশ্চিন্তার মেঘ কাটে। নতুন অতিথিকে দেখতে আত্মীয় স্বজনের কমতি নেই। খাবার দাবার আসে সঙ্গে। কিন্তু নতুন অতিথির মুখে শুধু মায়ের বুকের শালদুধটুকুই জুটে। এক ভদ্রলোক মিষ্টির প্যাকেট হাতে এসে বললো, ‛ভাই। বাবা হইলাম, ধরেন।’ বলেই একটা মিষ্টি হাত বাড়িয়ে দিলো। হাসপাতালে অচেনা লোকের দেওয়া খাবার কেউ খেতে চায় না। কিন্তু এই ভদ্রলোক তার খুশিটা সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে চাইছেন। আমি এইটুকু খুশি ওনার কাছ থেকে নিবো না, তা কি করে হয়। মিষ্টিটা খেতে খেতে বললাম, ‛ভাই ছেলে বাবু না মেয়ে বাবু?’ চোখে মুখে খুশির আমেজ। বললো, ‛আল্লাহ আমারে জান্নাত দিছে ভাই। এই নিয়ে দুই মেয়ে হইলো।’ ওনার খুশি আমার মুখে ফুটালাম। হাসি দিয়ে বললাম, ‛যাক আলহামদুলিল্লাহ ভাই।’ ভাবলাম এইটুকু সখ্যতার খাতিরে ভদ্রলোক হয়তো আরেকটা মিষ্টি সাধবেন। তা হলো না। আমি ওয়ার্ডে গেলাম। দুদিনে চিত্রার শরীর কিছুটা ফুলে গেছে। স্যালাইনের প্রভাব। আগের রিপোর্ট অনুযায়ী কালকে ড...